রাতের যে ৮টি অভ্যাস আপনার ঘুম নষ্ট করে
১. দেরিতে ভারী খাবার খাওয়া:
রাতের খাবার খুব ভারী বা বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে, যা ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে চর্বি ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া এড়ানো উচিত।
২. চা বা কফি পান:
ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, যেমন চা, কফি, বা এনার্জি ড্রিঙ্ক, রাতের ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে। ক্যাফেইন স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে, যা ঘুমাতে বাধা দেয়।
৩. স্মার্টফোন বা টিভি দেখা:
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, বা টিভি থেকে নির্গত নীল আলো মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। এটি ঘুমের সময়সূচি ব্যাহত করে।
রাতে গভীর ঘুমের জন্য সহজ কাজটি করুন
৪. অনিয়মিত ঘুমানোর সময়:
নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে না গেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি (সার্কাডিয়ান রিদম) বিঘ্নিত হয়, যা ঘুমের মান নষ্ট করে।
৫. শারীরিক ব্যায়াম বা ওয়ার্কআউট:
রাতে দেরিতে ভারী শারীরিক ব্যায়াম করলে স্নায়ুতন্ত্র উত্তেজিত হয়ে পড়ে, যা শরীরকে শিথিল হতে দেয় না এবং ঘুমাতে দেরি হয়।
৬. অ্যালকোহল বা ধূমপান:
অ্যালকোহল প্রাথমিকভাবে ঘুমালেও গভীর ঘুম ব্যাহত করে। ধূমপান বা নিকোটিনযুক্ত পণ্য স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে, যা ঘুমকে প্রভাবিত করে।
৭. মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা:
ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত চিন্তা বা মানসিক চাপ ঘুমানোর প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। বিশেষত আর্থিক, কাজের, বা ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা করলে ঘুম নষ্ট হয়।
৮. বিছানায় শুয়ে ফোন ব্যবহার করা:
বিছানায় শুয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা বা মেসেজিং করা মনকে অতিরিক্ত সক্রিয় করে, যা ঘুমাতে অসুবিধা সৃষ্টি করে।
পরামর্শ:
- শোবার আগে একটি নিয়মিত রুটিন অনুসরণ করুন।
- শীতল ও শান্তিপূর্ণ ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন।
- রাতে চা, কফি, বা অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
- ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস শোবার এক ঘণ্টা আগে বন্ধ করুন।
- মন শান্ত করার জন্য মেডিটেশন বা হালকা বই পড়ুন।
সুস্থ ঘুম শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। এসব অভ্যাস এড়িয়ে চললে ঘুমের মান উন্নত হবে।