গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় বিষয়গুলো মেনে চলুন

 গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় বিষয়গুলো মেনে চলুন

গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু জ্বর হওয়া মা এবং শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এটি দ্রুত চিকিৎসা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ডেঙ্গু জ্বর হলে নিম্নলিখিত করণীয় বিষয়গুলো মেনে চলুন:


১. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:

  • ডেঙ্গুর উপসর্গ (জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেটব্যথা, গায়ে র‍্যাশ) দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
  • রক্তে প্লাটিলেট কাউন্ট এবং হেমাটোক্রিট পরীক্ষা করান।

২. হাইড্রেটেড থাকুন:

  • বেশি পরিমাণ পানি, ডাবের পানি, ওআরএস, স্যুপ ইত্যাদি পান করুন।
  • ডিহাইড্রেশন হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

  1. বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের ৭টি পরিবর্তন

    মেয়েদের টেস্টোস্টেরন হরমোন বেড়ে গেলে কি হয়

    মেয়েদের হরমোন কয়টি

    বয়ঃসন্ধির সময় মেয়েদের মধ্যে যে পরিবর্তন ঘটে

৩. প্যারাসিটামল ব্যবহার করুন:

  • জ্বর এবং ব্যথা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল ব্যবহার করুন।
  • কোনোভাবেই ইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিন ব্যবহার করবেন না। এটি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৪. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন:

  • শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
  • শক্তি ধরে রাখার জন্য সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার খান।

৫. রক্তপাতের লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করুন:

  • দাঁতের মাড়ি বা নাক দিয়ে রক্তপাত, ত্বকের নিচে কালচে দাগ, কালো পায়খানা বা অতিরিক্ত দুর্বলতা হলে দ্রুত হাসপাতালে যান।

৬. হাসপাতালের পর্যবেক্ষণে থাকুন:

  • জটিলতা দেখা দিলে (যেমন: ডেঙ্গু শক সিনড্রোম বা হেমোরেজিক ডেঙ্গু) হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

৭. গর্ভের শিশুর মনিটরিং করুন:

  • গর্ভকালীন ডেঙ্গু মায়ের প্লাসেন্টার মাধ্যমে শিশুর ক্ষতি করতে পারে। এজন্য চিকিৎসক নিয়মিত আল্ট্রাসনোগ্রাফি বা ফিটাল মনিটরিং করতে বলবেন।

৮. মশার কামড় থেকে সুরক্ষিত থাকুন:

  • মশার কামড় এড়ানোর জন্য মশারি ব্যবহার করুন।
  • ঘরে মশারোধক স্প্রে বা মশার তাড়ানোর উপকরণ ব্যবহার করুন।
  • ফুলহাতা জামা-কাপড় এবং মোজা পরুন।

মেয়েদের যেসব ভুলের কারণে হচ্ছে স্তন ক্যান্সার


৯. পুষ্টি নিশ্চিত করুন:

  • ডেঙ্গুর সময় পুষ্টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আয়রন এবং ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন যাতে প্লাটিলেটের ক্ষতিপূরণ হতে পারে।

সতর্কতা: গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু হলে এটি অবহেলা করবেন না। চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ রাখা জরুরি এবং নিজে থেকে ওষুধ বা কোনো চিকিৎসা শুরু করবেন না। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে মা এবং শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন