গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর লক্ষণ,সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার করণীয় 
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস, যাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes) বলা হয়, এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। এটি সাধারণত গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় বা তৃতীয় ত্রৈমাসিকে দেখা যায়।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের লক্ষণসমূহ:
- বারবার তৃষ্ণা লাগা
- প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
- অতিরিক্ত ক্ষুধা অনুভব করা
- শরীরে ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করা
- দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসা
- বারবার সংক্রমণ (যেমন প্রস্রাবের রাস্তার সংক্রমণ বা ত্বকের সংক্রমণ)
অনেক ক্ষেত্রে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের স্পষ্ট লক্ষণ থাকে না। তাই গর্ভবতী নারীদের নিয়মিত পরীক্ষা করা জরুরি।
আপনার করণীয়:
১. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন:
- গর্ভাবস্থার নির্দিষ্ট সময়ে গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট করান।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তের শর্করা পর্যবেক্ষণ করুন।
২. সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন:
- পুষ্টিবিদ বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিক ডায়েট অনুসরণ করুন।
- ফাইবারযুক্ত খাবার (যেমন শাকসবজি, ফলমূল), সম্পূর্ণ শস্য এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার খান।
- চিনি এবং কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন।
৩. নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম করুন:
- প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম, যেমন হাঁটাহাঁটি বা গর্ভবতীদের জন্য বিশেষ ব্যায়াম করুন (ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে)।
৪. প্রয়োজনে ইনসুলিন ব্যবহার করুন:
- কিছু ক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার ডায়াবেটিস ওষুধ কার্যকর হয় না, তাই ডাক্তারের পরামর্শে ইনসুলিন নিতে হতে পারে।
৫. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন:
- ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত ঘুম আপনাকে চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করবে।
আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করলে বাচ্চার অতিরিক্ত ওজন হওয়া (Macrosomia), প্রি-টার্ম ডেলিভারি, বা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- নিয়ন্ত্রণে থাকলে মা এবং শিশুর উভয়ের সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ডাক্তারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং নিজের যত্ন নেওয়াই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূলমন্ত্র।
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের ১০টি উপায় হল
Tags
নারীর স্বাস্থ্য