মেয়েদের যেসব ভুলের কারণে হচ্ছে স্তন ক্যান্সার
মেয়েদের কিছু অভ্যাস বা ভুল সিদ্ধান্ত স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলুন জেনে নেই সেসব কারণগুলো:
১. অনিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা হলে এর চিকিৎসা অনেক সহজ হয়। অনেক নারী নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করতে বা স্ক্রিনিং করাতে অবহেলা করেন। এতে ক্যান্সার ধরা পড়তে দেরি হয় এবং ঝুঁকি বাড়ে।
২. অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, ফাস্ট ফুড বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৩. অতিরিক্ত ওজন
মেনোপজের পরে অতিরিক্ত ওজন হওয়া স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি থেকে এস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা স্তন ক্যান্সারের একটি কারণ হতে পারে।
৪. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের দীর্ঘদিনের ব্যবহার
অনেক দিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৫. সন্তান ধারণে বিলম্ব এবং সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো
যেসব নারী দেরিতে সন্তান নেন বা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান না, তাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে।
৬. হরমোন থেরাপি
মেনোপজের সময় দীর্ঘদিন ধরে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (HRT) গ্রহণ করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
৭. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ
নিয়মিত মানসিক চাপ বা উদ্বেগের প্রভাব শরীরের হরমোনের উপর পড়ে এবং এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কীভাবে ঝুঁকি কমানো যায়?
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং করানো
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- ধূমপান ও মদ্যপান এড়ানো
- মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা
- সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো (যদি সম্ভব হয়)
সঠিক তথ্য জানা এবং সতর্ক থাকা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
স্বাস্থ্য - সুরক্ষিত ও সুস্থ জীবনযাপনে নারীদের করণীয়গুলো
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের ৭টি পরিবর্তন
মেয়েদের টেস্টোস্টেরন হরমোন বেড়ে গেলে কি হয়