হাতের আঙ্গুল ফাটালে যে রোগগুলো অবশ্যই হবে!
হাতের আঙুল ফাটানোর ( যা অনেক সময় "নকল ক্র্যাকিং" নামে পরিচিত ) সাথে শরীরের বড় কোনো ক্ষতির সম্পর্ক নেই বলে অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। এটি সাধারণত একটি অভ্যাসগত আচরণ এবং এতে কোনো গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে না এবং আঙুল ফাটানোর ফলে অবশ্যই কোনো রোগ হবে—এমন ধারণা সঠিক নয়। তবে, কিছু ভুল ধারণা এবং সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
ভুল ধারণা:
আর্থ্রাইটিস হবে।
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে আঙুল ফাটালে আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের প্রদাহ হতে পারে। তবে, এই দাবির পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দীর্ঘমেয়াদে গবেষণা থেকে জানা গেছে, আঙুল ফাটানোর সাথে আর্থ্রাইটিসের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী:
আঙুল ফাটানোর ফলে সরাসরি আর্থ্রাইটিস বা অন্যান্য জয়েন্টের রোগ হয় না। এই বিষয়টি নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এক বিখ্যাত ডাক্তার নিজের একটি হাতে ৬০ বছর ধরে নিয়মিত আঙুল ফাটিয়েছেন এবং অন্য হাতে করেননি। গবেষণা শেষে দেখা গেছে, কোনো পার্থক্য হয়নি।
যেসব ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া করণীয় কাজের তালিকা
সম্ভব পরিণতি:
১. জয়েন্টের দুর্বলতা:
অনেক সময় অতিরিক্ত ফাটালে জয়েন্টের চারপাশের টিস্যু বা লিগামেন্ট দুর্বল হতে পারে। তবে, এটি অত্যন্ত বিরল।
২. জয়েন্টে ফোলা বা ব্যথা:
যদি নিয়মিত এবং জোরে আঙুল ফাটানো হয়, তবে মাঝে মাঝে জয়েন্টে হালকা ফোলা বা অস্বস্তি হতে পারে।
৩. শক্তি কমানো:
যারা অতিরিক্ত আঙুল ফাটান, তাদের ক্ষেত্রে হাতের গ্রিপ বা শক্তি কিছুটা কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
লিগামেন্টে দুর্বলতা: দীর্ঘমেয়াদে খুব বেশি আঙুল
কেন শব্দ হয়?
আঙুল ফাটানোর সময় শব্দ হয় কারণ জয়েন্টের ভিতরের সাইনোভিয়াল তরলে থাকা গ্যাসের বুদবুদ হঠাৎ ফেটে যায়। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়।
পরামর্শ:
যদি আঙুল ফাটানোর অভ্যাস আপনার জন্য আরামদায়ক হয় এবং ব্যথা বা অস্বস্তি না হয়, তবে এটি চালিয়ে যাওয়া ক্ষতিকর নয়। তবে, অতিরিক্ত অভ্যাস হয়ে গেলে এটি বাদ দেওয়া ভালো। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
সতর্কতা: যদি আঙুল ফাটানোর সময় ব্যথা, ফোলা, বা জয়েন্টে সীমাবদ্ধতা অনুভূত হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।