ডি-মোটিভেট আমরা কেন হই
ডি-মোটিভেশন বা অনুপ্রেরণার অভাব সাধারণত তখন ঘটে যখন আমরা কোনো কারণে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে বাধা পাই, ব্যর্থ হই, বা নির্দিষ্ট পরিস্থিতি আমাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন:
১. অতিরিক্ত চাপ ও ব্যর্থতার ভয়:
- অতিরিক্ত চাপ বা কাজের অতিরিক্ত বোঝা ডি-মোটিভেশনের একটি বড় কারণ। লক্ষ্যগুলো যখন খুব বেশি কঠিন বা অসম্ভব মনে হয়, তখন হতাশা জন্ম নেয়।
- ব্যর্থতার ভয়ও আমাদের কাজের প্রতি উৎসাহ কমিয়ে দিতে পারে। একবার ব্যর্থ হলে আমরা পুনরায় চেষ্টা করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলি।
২. নেতিবাচক অভিজ্ঞতা:
- কোন নেতিবাচক অভিজ্ঞতা, যেমন সমালোচনা, অপমান, বা প্রত্যাখ্যান, আমাদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় এবং কাজের প্রতি মনোযোগ নষ্ট করে।
- যখন আশেপাশের মানুষ আমাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেয় না,তা ডি-মোটিভেশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৩. অস্পষ্ট লক্ষ্য ও দিকনির্দেশনার অভাব:
- যদি আমাদের লক্ষ্যগুলি অস্পষ্ট বা অপ্রতুল হয়, তাহলে কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। লক্ষ্যহীনভাবে কাজ করা অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে কঠিন হয়ে পড়ে।
- দিকনির্দেশনার অভাব থাকলে বা কোন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া কাজ করলে ডি-মোটিভেশন সৃষ্টি হয়।
৪. শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি:
- মানসিক বা শারীরিক ক্লান্তি আমাদের কাজে উৎসাহিত হতে বাধা দেয়। বিশ্রামের অভাব এবং অতিরিক্ত কাজের ফলে ক্লান্তি আমাদের কাজের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়।
- মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে আমরা প্রোডাক্টিভ থাকতে পারি না, যা ধীরে ধীরে ডি-মোটিভেশনে রূপ নেয়।
৫. সমর্থনের অভাব:
- আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন না পেলে আমরা নিজেদের একা ও বিচ্ছিন্ন মনে করি, যা অনুপ্রেরণা হ্রাস করে।
- সঠিক পরিবেশ ও পজিটিভ সহকর্মীদের উপস্থিতি না থাকলে কাজের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
৬. প্রগতির অভাব:
- কোন কাজের মাঝে দীর্ঘ সময় ধরে কোন উন্নতি বা প্রগতি না দেখতে পেলে হতাশা বাড়ে এবং আমরা ডি-মোটিভেটেড হয়ে পড়ি। এটি মনে হয় যেন আমরা কোন ফল পাচ্ছি না।
- ছোট লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে না পারলে ধীরে ধীরে অনুপ্রেরণা হারাতে শুরু করি।
৭. অর্থহীনতার অনুভূতি:
- কখনও কখনও আমরা আমাদের কাজের মধ্যে অর্থ বা উদ্দেশ্য খুঁজে পাই না। এই অনুভূতি থেকে কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায় এবং ডি-মোটিভেশন তৈরি হয়।
- কাজের মধ্যে যদি আমাদের মানসিক সন্তুষ্টি না থাকে, তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে সেই কাজে মনোযোগ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
ডি-মোটিভেশন কাটানোর উপায়:
- নিজের লক্ষ্যগুলো পুনঃনির্ধারণ করুন এবং সেগুলোকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলুন।
- ছোট ছোট সাফল্য উদযাপন করুন এবং ধীরে ধীরে এগিয়ে যান।
- মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং স্বাস্থ্যকর রুটিন অনুসরণ করুন।
- আশেপাশের ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গ নিন এবং সমর্থন নিন।
- ব্যর্থতা থেকে শিখুন, এটি আপনার শেখার এবং উন্নতির একটি ধাপ হিসেবে দেখুন।
ডি-মোটিভেশন স্বাভাবিক একটি অবস্থা, তবে এর কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করলে আমরা আবারও অনুপ্রাণিত হতে পারি।
আরও পড়ুন
সেলিব্রেশন টা খুবই প্রয়োজন মোটিভেশনের জন্য
জানুন ৮ টি ঘুমের রোগে সাধারণ সমস্যা
পজেটিভ কথা মনকে শক্তি সঞ্চার ও সুন্দর করে
মন ভালো করার ৭টি কার্যকর উপায়
নিয়মিত বই পড়লে আপনি স্মার্ট হয়ে উঠবেন
চাপ কমানোর জন্য বিভিন্ন কার্যকরী পদ্ধতি
ভালো ঘুমের জন্য কিছু কার্যকর টিপস
একজন সুস্থ মানুষের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
সকালে নারিকেল খাওয়ার উপকারিতা
Tags
লাইফ স্টাইল