নিজেকে ছোট করে দেখার প্রবণতা থেকে যেভাবে বেরিয়ে আসবেন

            নিজেকে ছোট করে দেখার প্রবণতা থেকে যেভাবে বেরিয়ে আসবেন 

নিজেকে ছোট করে দেখার প্রবণতা (Self-Doubt বা Low Self-Esteem) একজন মানুষের আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বড় বাধা হতে পারে। এটি কাটিয়ে ওঠার জন্য ধৈর্য ও সচেতন প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নিচে কিছু কার্যকর পদ্ধতি দেওয়া হলো, যা আপনাকে এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে:

১. নিজের মূল্য বোঝা শিখুন

  • নিজের সফলতা, দক্ষতা এবং ইতিবাচক দিকগুলো লিখে রাখুন।
  • প্রতিদিন অন্তত একটি ভালো কাজ বা গুণ নিজেকে মনে করান।

রাতের শিফটের কারণে আপনার ঘুমকে যেভাবে পরিচালনা করবেন

শ্যামলা ত্বকের জন্য সঠিক কনসিলার ব্যবহার

যেসব ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

২. নেতিবাচক চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করুন

  • যখন মনে হবে "আমি পারব না" বা "আমি যথেষ্ট ভালো নই," তখন এই চিন্তাগুলোকে প্রশ্ন করুন।
  • জিজ্ঞেস করুন, "কেন আমি এটি ভাবছি? এর কোনো প্রমাণ আছে কি?"
  • নেতিবাচক চিন্তার বদলে ইতিবাচক কথা বলার চেষ্টা করুন।

৩. প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত করুন

  • নিজের প্রতি অতিরিক্ত কঠোর হওয়া বন্ধ করুন। সবাই সবসময় পারফেক্ট হতে পারে না।
  • নিজের লক্ষ্যগুলো ছোট এবং অর্জনযোগ্য রাখুন।


৪. অন্যের সঙ্গে তুলনা বন্ধ করুন

  • অন্যের জীবনের বাহ্যিক দিক দেখে নিজের জীবনকে বিচার করবেন না।
  • মনে রাখুন, প্রত্যেকের জীবন ভিন্ন এবং আপনার নিজস্ব পথ রয়েছে।

৫. নিজেকে ক্ষমা করুন

  • অতীতের ভুল বা ব্যর্থতা নিয়ে নিজেকে দোষারোপ বন্ধ করুন।
  • ভুলকে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখুন এবং সামনের দিকে এগিয়ে যান।

রাতে গভীর ঘুমের জন্য সহজ কাজটি করুন

৬. আত্মসমর্থনকারী অভ্যাস গড়ে তুলুন

  • প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের জন্য কিছু ইতিবাচক কথা বলুন।
    উদাহরণ: "আমি যথেষ্ট ভালো," "আমি এটি পারব," বা "আমি আমার মতোই সুন্দর।"

৭. যা পছন্দ করেন তা করুন

  • যেসব কাজে আপনি আনন্দ পান বা সফল হতে পারেন, সেগুলো নিয়মিত করুন।
  • এটি আপনার দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।

৮. সহযোগিতামূলক মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান

  • এমন মানুষদের এড়িয়ে চলুন যারা আপনাকে নেতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করে।
  • ইতিবাচক, সমর্থনকারী মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান যারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে।

৯. নিজেকে সময় দিন

  • আত্মবিশ্বাস বাড়ানো একটি ধীর প্রক্রিয়া। নিজেকে সময় দিন এবং ছোটো ছোটো পরিবর্তনগুলো উদযাপন করুন।

১০. পেশাদার সহায়তা নিন (যদি প্রয়োজন হয়)

  • যদি এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা আপনাকে মানসিকভাবে খুব কষ্ট দেয়, তাহলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
  • থেরাপি বা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আত্মসম্মান বাড়ানো সম্ভব।

মনে রাখুন:
আপনি যে অবস্থায় আছেন, সেটিই মূল্যবান। অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি নয়, বরং নিজের প্রতি আপনার মূল্যায়নই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ধীরে ধীরে এই অভ্যাস পরিবর্তন সম্ভব, শুধু আপনার প্রচেষ্টায় অটল থাকতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন