শিশুদের কথায় কথায় মিথ্যা বলার অভ্যাস বদলাতে অভিভাবকের করণীয়
১. বুঝুন কেন মিথ্যা বলছে
প্রথমেই চেষ্টা করুন, শিশুটি কেন মিথ্যা বলছে সেটা বুঝতে। যদি সে শাস্তির ভয়ে মিথ্যা বলে, তাহলে তার নিরাপত্তা এবং ভয়ের প্রতি মনোযোগ দিন। আবার, মনোযোগ আকর্ষণের জন্য মিথ্যা বললে তার প্রতি একটু বেশি সময় ও মনোযোগ দিন।
২. ধৈর্য ধরে কথা বলুন
মিথ্যা ধরতে পারলে রেগে না গিয়ে ধৈর্য ধরে কথা বলুন। শিশুকে বুঝিয়ে বলুন কেন সত্যি কথা বলা জরুরি এবং মিথ্যা বললে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে। কঠোর শাস্তির পরিবর্তে বোঝানো বেশি কার্যকর।
শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব
৩. উদাহরণ দিয়ে শেখান
নিজের কথায় এবং কাজে সত্যবাদিতা প্রদর্শন করুন, কারণ শিশুরা সবসময় বড়দের দেখেই শেখে। সত্য বলার ভালো উদাহরণ দিলে তারা প্রভাবিত হয় এবং তারাও সত্যি কথা বলতে উৎসাহী হয়।
৪. সন্তানের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখুন
যখন শিশু সত্যি কথা বলে, তখন তাকে প্রশংসা করুন। তাকে বলুন যে সত্যি বলার জন্য আপনি গর্বিত। এটি তার ভেতরে সত্যি বলার প্রতি ভালো অনুভূতি তৈরি করবে।
৫. কঠোরভাবে শাসনের পরিবর্তে মৃদুভাবে সংশোধন করুন
শাসন না করে সমস্যা সম্পর্কে আলাপ করুন। শাসন করলে অনেক সময় শিশুরা আরও মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়। মৃদু শাসন এবং বোঝানোর মাধ্যমে তাকে সত্যি কথা বলার জন্য উৎসাহিত করুন।
৬. ভয়ের পরিবেশ তৈরি করবেন না
শিশুকে শাস্তির ভয় দেখিয়ে সত্য বলানো ঠিক নয়। ভয় পেলে শিশুরা আরও বেশি মিথ্যা বলতে শুরু করতে পারে। বরং তাকে নিরাপত্তা দিন যাতে সে নির্দ্বিধায় সত্যি কথা বলতে পারে।
৭. কল্পনার জগৎ এবং মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য শেখান
অনেক সময় শিশু কল্পনার জগৎ এবং বাস্তবের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে না। তাকে সহজভাবে এই পার্থক্য বোঝান এবং সত্যিকারের পরিস্থিতিতে কীভাবে সত্যি কথা বলতে হয় তা শেখান।
৮. তাকে বিকল্প পথ দেখান
শিশুকে বলুন মিথ্যা না বলেও কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ভুল করে ফেললে কীভাবে সেটা স্বীকার করা যায়, এবং তার জন্য কীভাবে সমাধান খোঁজা যায় সেটাও তাকে শেখান।
শিশুকে ধৈর্য, ভালোবাসা ও বোঝানোর মাধ্যমে সত্যি কথা বলতে উদ্বুদ্ধ করা যায়। শিশুরা ধীরে ধীরে শিখবে এবং এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসবে, যদি আপনি তাদের সঠিক পথে চালিত করতে পারেন।
আরও পড়ুন