অবিবাহিত মেয়ের স্তন ক্যান্সারের কারণ
অবিবাহিত মেয়েদের বা নারীদের স্তন ক্যান্সারের কারণ নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন,কারণ স্তন ক্যান্সার বিভিন্ন কারণের সমন্বয়ে হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ কারণ এবং ঝুঁকির বিষয়গুলো উল্লেখ করা যায়:
১. হরমোনের প্রভাব
- মাসিক চক্রের প্রথম দিক থেকে শেষ পর্যন্ত হরমোনের পরিবর্তন স্তন টিস্যুর উপর প্রভাব ফেলে।
- যদি একজন নারী দীর্ঘ সময় ধরে (মেনার্ক থেকে মেনোপজ) ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরনের সংস্পর্শে থাকেন, তবে ঝুঁকি বাড়ে।
২. জেনেটিক কারণ
- পরিবারে যদি স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকে, তবে ঝুঁকি বেশি।
- বিশেষ করে BRCA1 এবং BRCA2 জিন মিউটেশন থাকলে ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
৩. বয়স
- বয়স বাড়ার সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৪. লাইফস্টাইল এবং পরিবেশগত কারণ
- ধূমপান, অ্যালকোহল গ্রহণ, এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- ওবেসিটি (মোটা হওয়া) এবং শারীরিকভাবে কম সক্রিয় থাকাও ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. প্রজনন সম্পর্কিত কারণ
- সন্তান না হওয়া বা দেরিতে প্রথম সন্তান গ্রহণ ঝুঁকি বাড়ায়।
- স্তন্যপান না করানোর ফলে ঝুঁকি কিছুটা বেড়ে যায়।
৬. স্তনের নিজস্ব টিস্যুর পরিবর্তন
- স্তনে অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি (যেমনঃ অ্যাটিপিক্যাল হাইপারপ্লাসিয়া) স্তন ক্যান্সারের পূর্বলক্ষণ হতে পারে।
৭. হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (HRT)
- ইস্ট্রোজেন বা প্রজেস্টেরন ভিত্তিক থেরাপি গ্রহণ করলে ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
৮. স্ট্রেস ও মানসিক স্বাস্থ্য
- মানসিক চাপ দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে এটি পরোক্ষভাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সতর্কতা ও প্রতিরোধ
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং মেমোগ্রাফি করা।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল পরিহার করা।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা।
চিকিৎসকের পরামর্শ
স্তন ক্যান্সারের যেকোনো লক্ষণ (যেমন স্তনে গিঁট বা ব্যথা) দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
আপনার যদি এ বিষয়ে আরো বিশদ তথ্য বা পরামর্শ প্রয়োজন হয়, জানাতে পারেন।
Tags
নারীর স্বাস্থ্য