সন্তানের আগ্রহ: গিটার, না কি খেলা?
প্রতিটি শিশুরই আলাদা স্বভাব ও আগ্রহ থাকে। কেউ গানের সুরে মুগ্ধ হয়, আবার কেউ দৌড়ঝাঁপ, খেলাধুলায় আনন্দ খুঁজে পায়। আপনার সন্তানের মধ্যে গিটার বাজানোর প্রতি ঝোঁক, নাকি খেলাধুলার প্রতি বেশি আগ্রহ—এটি বোঝার জন্য তার দৈনন্দিন অভ্যাস, স্বতঃস্ফূর্ত কর্মকাণ্ড ও আনন্দের মুহূর্তগুলো খেয়াল করুন।
যদি সে গিটারের তারে সুর তুলতে ভালোবাসে, তাহলে তার আগ্রহকে সমর্থন করুন। তাকে একটি ভালো গিটার কিনে দিন, নিয়মিত চর্চার পরিবেশ তৈরি করুন এবং প্রয়োজন হলে একজন শিক্ষক ঠিক করে দিন। গিটার বাজানো শুধু সৃজনশীলতার বিকাশই ঘটায় না, এটি মনোযোগ ও ধৈর্যও বাড়ায়।
অন্যদিকে, যদি সে খেলাধুলায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তাহলে তাকে মাঠে সময় কাটানোর সুযোগ দিন। ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন বা যে খেলাতেই সে আগ্রহী হোক না কেন, তাকে উৎসাহিত করুন। খেলাধুলা শরীর ও মনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, সামাজিক দক্ষতা গড়ে তোলে এবং দলগত চেতনা শেখায়।
আরও পড়ুন:
শিশুদের ব্রঙ্কিওলাইটিস: শীতকালে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি ও করণীয়
শীতে নবজাতকের যত্ন: সঠিক পরিচর্যা ও করণীয় নির্দেশিকা 😊
নবজাতক শিশুর যত্ন: গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয় ১০টি টিপস
পড়াশোনার বাইরে কোন কাজে উৎসাহ দেবেন?
পড়াশোনার পাশাপাশি সন্তানের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য বিভিন্ন সৃজনশীল ও শারীরিক কার্যক্রমে তাকে উৎসাহিত করা উচিত। কিছু সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে—
- সংগীত ও নৃত্য: গান, গিটার, পিয়ানো বা নাচের চর্চা সৃজনশীলতাকে বাড়ায়।
- চিত্রাঙ্কন ও ক্রাফট: ছবি আঁকা, হস্তশিল্প বা ক্রাফটিং করার অভ্যাস শিশুর কল্পনাশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে।
- বই পড়া ও গল্প লেখা: বই পড়া জ্ঞানের পরিধি বাড়ায় এবং লেখালেখির মাধ্যমে চিন্তাশক্তি বিকাশ ঘটে।
- খেলাধুলা: দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, বাস্কেটবল বা অন্যান্য খেলা শিশুকে স্বাস্থ্যকর রাখে।
- বাগান করা: প্রকৃতির সাথে সংযোগ বাড়ায় এবং দায়িত্বশীল হতে শেখায়।
- সামাজিক কাজ: পশুপাখির যত্ন নেওয়া, বৃক্ষরোপণ, সমাজসেবামূলক কাজে অংশ নেওয়া শিশুকে সহমর্মিতা শেখায়।
সন্তানের প্রতি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে জোর না দিয়ে, তার স্বাভাবিক আগ্রহ ও প্রতিভাকে মূল্যায়ন করুন। সে যে কাজে আনন্দ পায়, সেটিই সে ভালোভাবে করতে পারবে এবং দীর্ঘমেয়াদে সফল হবে। তাই, তার আনন্দ ও আগ্রহের পথকে প্রশস্ত করে দিন, তাতেই সে বেড়ে উঠবে এক পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে।
আরও পড়ুন: