যেসব ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে
শরীর দুর্বল হওয়ার পেছনে বেশ কিছু ভিটামিনের অভাব ভূমিকা রাখতে পারে। নিচে সেসব ভিটামিন এবং তাদের অভাবে কীভাবে দুর্বলতা তৈরি হয়, তা তুলে ধরা হলো:
ভিটামিন B কমপ্লেক্স (বিশেষত B1, B6, B9, B12)
ভিটামিন B1 (থায়ামিন):
- অভাবের প্রভাব:
- স্নায়বিক দুর্বলতা
- ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব
- পেশি দুর্বল হয়ে পড়া
ভিটামিন B6 (পাইরিডক্সিন):
- অভাবের প্রভাব:
- শরীর দুর্বল অনুভব করা
- মনোযোগ এবং মেজাজের সমস্যাগুলো দেখা দেওয়া
ভিটামিন B9 (ফোলেট):
- অভাবের প্রভাব:
- রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া), যা অক্সিজেন বহনে ব্যর্থতা সৃষ্টি করে এবং ক্লান্তি বোধ বাড়ায়
ভিটামিন B12 (কোবালামিন):
- অভাবের প্রভাব:
- রক্তশূন্যতা
- স্নায়বিক দুর্বলতা
- দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি
ভিটামিন C
- অভাবের প্রভাব:
- দেহে শক্তি উৎপাদনে সমস্যা
- ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
- সংক্রমণের প্রবণতা বৃদ্ধি
ভিটামিন D
- অভাবের প্রভাব:
- হাড় ও পেশি দুর্বল হয়ে পড়া
- দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব
- ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া
এলার্জি? জানুন কোন ভিটামিনের ঘাটতিতে এটি বাড়তে পারে! যা জানা অত্যন্ত জরুরি
ভিটামিন E
- অভাবের প্রভাব:
- স্নায়বিক দুর্বলতা
- পেশি শক্তি হ্রাস
- দেহে শক্তি উৎপাদন কমে যাওয়া
ভিটামিন K
- অভাবের প্রভাব:
- রক্তপাতের সমস্যা
- অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে শরীরে দুর্বলতা
শরীর দুর্বলতা প্রতিরোধে পরামর্শ:
- সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন, যেখানে শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, মাছ এবং দুধের মতো পুষ্টিকর খাবার থাকবে।
- প্রয়োজন হলে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন (চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী)।
- পর্যাপ্ত রোদে থাকা (ভিটামিন D-এর জন্য)।
- পর্যাপ্ত পানি পান এবং বিশ্রাম নিন।
যদি শরীরের দুর্বলতা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
লিখেছেন: ফারজানা রহমান মুনমুন