এলার্জি? জানুন কোন ভিটামিনের ঘাটতিতে এটি বাড়তে পারে
এলার্জি এবং ভিটামিনের ঘাটতি: যা জানা অত্যন্ত জরুরি
এলার্জি এমন একটি সমস্যা, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বড়ই অস্বস্তিকর করে তোলে। এটি ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি, নাক দিয়ে পানি পড়া, শ্বাসকষ্ট, এমনকি চোখে পানি আসার মতো সমস্যার কারণ হতে পারে। অনেকেই জানেন না, শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি এলার্জির সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। আজ আমরা জানব, কোন ভিটামিনের অভাব এলার্জির প্রভাব বাড়িয়ে তোলে এবং এটি কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
ভিটামিন ডি: এলার্জি বাড়ার পেছনে এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ
ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের ইমিউন সিস্টেম ও শ্বাসনালীকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকে,তাহলে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে এলার্জির প্রতি সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে,যাদের ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ কম, তাদের মধ্যে ধূলা,পরাগরেণু, বা কিছু খাবারের কারণে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ভিটামিন সি: প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
ভিটামিন সি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,যা শরীরের মুক্তমূলক (free radicals) প্রভাব থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি-এর অভাবে শরীরের প্রদাহ বাড়তে পারে,যা এলার্জির লক্ষণগুলিকে আরও প্রকট করে তোলে। যেমন: নাক দিয়ে পানি পড়া,ত্বকের লাল দাগ ইত্যাদি।
রাতে গভীর ঘুমের জন্য সহজ কাজটি করুন
ভিটামিন ই: এলার্জি নিয়ন্ত্রণের গোপন অস্ত্র
ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। বিশেষ করে যারা হাঁপানি বা ধূলাজনিত অ্যালার্জিতে ভোগেন,তাদের জন্য ভিটামিন ই অত্যন্ত কার্যকরী। এই ভিটামিনের অভাবে শরীরের প্রদাহ ও এলার্জির প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পায়।
সমস্যা সমাধানের উপায়
১. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান:
মাছের তেল,ডিমের কুসুম,দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার,এবং সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি সংগ্রহ করা যেতে পারে।
২. ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খান:
আমলকি,কমলা,লেবু,পেয়ারা ইত্যাদি ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস।
৩. ভিটামিন ই গ্রহণ করুন:
বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, এবং পালংশাক থেকে আপনি সহজেই ভিটামিন ই পেতে পারেন।
৪. পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
পানি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং অ্যালার্জির প্রভাব কমায়।
৫. পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ:
স্ট্রেস ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক প্রশান্তি এলার্জি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।