শিশুদের ঘুমের রুটিন: সুস্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস
শিশুদের সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ও নিয়মিত ঘুম খুবই জরুরি। সঠিক ঘুমের অভ্যাস শিশুর মস্তিষ্ক, শরীরের বিকাশ এবং দৈনন্দিন কার্যক্রমে ভালো পারফরম্যান্সে সহায়ক। নিচে শিশুদের ঘুমের রুটিন নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো:১. বয়স অনুযায়ী ঘুমের প্রয়োজনীয়তা
প্রতিটি শিশুর বয়স অনুযায়ী ঘুমের প্রয়োজনীয়তা আলাদা:
- নবজাতক (০-৩ মাস): দিনে ১৪-১৭ ঘণ্টা
- শিশু (৪-১১ মাস): দিনে ১২-১৫ ঘণ্টা
- টডলার (১-২ বছর): দিনে ১১-১৪ ঘণ্টা
- প্রিস্কুল (৩-৫ বছর): দিনে ১০-১৩ ঘণ্টা
- স্কুল বয়সী (৬-১৩ বছর): দিনে ৯-১১ ঘণ্টা
২. নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করা
একটি সুনির্দিষ্ট ঘুমের রুটিন তৈরি করে তা প্রতিদিন অনুসরণ করুন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে জাগা শিশুর দেহঘড়ি বা বায়োলজিক্যাল ক্লককে সাহায্য করবে।
৩. আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করা
শিশুর ঘুমানোর জায়গা আরামদায়ক ও শান্ত হতে হবে। অন্ধকার বা হালকা আলো, নরম বিছানা, এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ শিশুর জন্য ঘুমকে আরো গভীর করবে।
৪. ঘুমানোর আগে স্ক্রিন টাইম কমানো
ঘুমানোর এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে টিভি, মোবাইল বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার কমিয়ে রাখুন। স্ক্রিন থেকে বের হওয়া নীল আলো মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে, যা ঘুমে বাধা দিতে পারে।
৫. ঘুমের আগে শান্ত ও মৃদু কার্যকলাপ
ঘুমানোর আগে শিশুরা যাতে শান্ত থাকতে পারে, তার জন্য কিছু মৃদু কার্যকলাপ করা যেতে পারে। যেমন বই পড়া, গান শোনা বা হালকা ম্যাসাজ। এটি শিশুর ঘুমের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে।
৬. সঠিক খাবার ও পানীয়
৭. দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ
শিশুদের দিনে পর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ নিশ্চিত করুন। এতে তারা শারীরিকভাবে ক্লান্ত হবে এবং রাতে সহজে ঘুমাবে।
৮. অভ্যাস তৈরি করা
নিয়মিত একটি ঘুমের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। যদি শিশুটি রাতে ঠিকমতো না ঘুমায়, তা হলে দিনে ঘুমানোর সময়েও সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিন।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে শিশুর ঘুমের অভ্যাস উন্নত হবে এবং তার শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।