🎬 বিনোদ খান্না: বলিউডের এক হারানো রত্ন 🌟 আজ তার ৯০তম জন্মদিন — অথচ কেউ স্মরণ করল না 💔 #VinodKhanna #VinodKhannaBirthday #VinodKhannaMovies #BollywoodLegend

 🎬 বিনোদ খান্না: বলিউডের এক হারানো রত্ন 🌟 আজ তার  ৯০তম জন্মদিন — অথচ কেউ স্মরণ করল না 💔 

বলিউডের স্বর্ণযুগের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন বিনোদ খান্না। আজ তাঁর ৯০তম জন্মদিন, কিন্তু দুঃখের বিষয়—সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন ভুলে গেছে সবাই। যিনি একসময় অমিতাভ বচ্চনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, যাঁর ব্যক্তিত্ব ও স্টাইল কোটি ভক্তের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিল, সেই বিনোদ খান্নাকেই আজ কেউ শুভেচ্ছা জানায়নি, কেউ স্মরণ করেনি।

১৯৪৬ সালে পেশোয়ারে জন্ম নেওয়া এই তারকা ৭০–৮০ দশকে বলিউডে রাজত্ব করেছেন অসংখ্য হিট সিনেমায়—মেরে আপনে, দায়াবান, আমর আকবর অ্যান্থনি, কুরবানি—সবখানেই তিনি ছিলেন সাফল্যের প্রতীক। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন, তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল অত্যন্ত সংযত ও নীরব।

আজকের প্রজন্ম হয়তো তাঁর নাম তেমন জানে না, কিন্তু যাঁরা সত্যিকারের সিনেমাপ্রেমী, তাঁদের হৃদয়ে বিনোদ খান্না আজও এক কিংবদন্তি। ✨

বিনোদ খান্না: বলিউডের এক হারানো রত্ন 🌟

বলিউডের ইতিহাসে যাঁরা সত্যিকারের নায়ক ছিলেন—তাদের মধ্যে বিনোদ খান্না অন্যতম। আজ তাঁর ৯০তম জন্মদিন, অথচ সামাজিক মাধ্যমে খুব কম মানুষই তাঁকে স্মরণ করেছেন। কিন্তু সিনেমাপ্রেমীদের কাছে তিনি চিরকালই “স্টাইল ও ব্যক্তিত্বের প্রতীক” হয়ে থাকবেন।

১৯৪৬ সালের ৬ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের পেশোয়ারে জন্ম নেওয়া বিনোদ খান্না প্রথমে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেই বলিউডে প্রবেশ করেন। তাঁর প্রথম সিনেমা ছিল মন কা মীট (১৯৬৮)। তবে খলনায়ক হয়েও দর্শকের চোখে হিরো হয়ে ওঠেন তিনি। মেরে আপনে (১৯৭১) সিনেমার পর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া হয়ে যায়।
পরবর্তীতে আনন্দ, পরওয়া, আমর আকবর অ্যান্থনি, কুরবানি, দ্যায়াবান, দয়াওয়ান, চাঁদনী, দাবাং—প্রতিটি ছবিতেই তিনি নিজের অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে তিনি শুধু রূপালী পর্দার নায়ক নন, এক জন বহুমাত্রিক শিল্পী।

তার সময়ের আরেক জনপ্রিয় নায়ক অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিনোদ খান্নার তুলনা করা হতো বারবার। বলা হয়, যদি তিনি কিছু সময়ের জন্য ওশো’র আশ্রমে গিয়ে সন্ন্যাস না নিতেন, তবে হয়তো তিনিই হতেন “বলিউডের নাম্বার ওয়ান হিরো”। ৮০–র দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি পুরো ক্যারিয়ারের শীর্ষ মুহূর্তে সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ান, আধ্যাত্মিক জীবনে মন দেন।

কিছু বছর পর তিনি আবার ফিরে আসেন, এবং প্রমাণ করেন তাঁর জাদু এখনও অটুট। চাঁদনী, দয়াওয়ান, জুর্ম থেকে শুরু করে দাবাং পর্যন্ত—প্রতিটি প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গেছেন সহজে। এমনকি তাঁর সংলাপের দৃঢ় উচ্চারণ, চোখের অভিব্যক্তি আর শরীরী ভাষা আজও তরুণ অভিনেতাদের শেখার বিষয়।

বিনোদ খান্না শুধু অভিনেতাই ছিলেন না, একজন সফল রাজনীতিকও। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন একাধিকবার, এবং মানবিকতার দিক থেকে ছিলেন অদ্বিতীয়।

২০১৭ সালে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান, কিন্তু তাঁর সিনেমা আর ব্যক্তিত্ব আজও বেঁচে আছে প্রতিটি সিনেমাপ্রেমীর হৃদয়ে। তাঁর পর্দার হাসি, সংলাপ আর ভদ্র অথচ দৃঢ় উপস্থিতি চিরকাল মনে রাখবে বলিউড।

✨ শুভ জন্মদিন বিনোদ খান্না — আপনি বলিউডের চিরন্তন ভদ্রলোক, যিনি আমাদের শেখান কীভাবে মর্যাদার সঙ্গে তারকা হওয়া যায়।