আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিণাম কোরআনে যা বলা হয়েছে
![]() |
smartlivinghub |
১. সম্পর্ক ছিন্ন করার কঠোর পরিণাম:
আল্লাহ বলেন:
"যারা আল্লাহর সঙ্গে চুক্তি করার পর তা ভঙ্গ করে এবং যে সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে—তাদের জন্যই লাঞ্ছনা এবং তাদের জন্য রয়েছে দুঃখজনক পরিণাম।"
— (সুরা আল-বাকারা: ২৭)
এই আয়াতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, যারা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে।
২. সম্পর্ক রক্ষা আল্লাহর নির্দেশ:
আল্লাহ বলেন:
"আর তারা (প্রকৃত মুমিন) হল তারা যারা আল্লাহর চুক্তি পূর্ণ করে এবং চুক্তি ভঙ্গ করে না। এবং তারা সেই সম্পর্কগুলো বজায় রাখে যেগুলো রক্ষা করার জন্য আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন।"
— (সুরা আর-রাদ: ২০-২১)
এখানে আল্লাহ দেখিয়ে দিয়েছেন যে, মুমিনদের একটি বড় গুণ হলো আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা।
৩. সম্পর্ক ছিন্নকারীকে শাস্তির হুমকি:
আল্লাহ আরও বলেন:
"তোমরা কি আশা করো না যে, যদি তোমরা পৃথিবীতে ক্ষমতায়িত হও তবে তোমরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে? এদেরই ওপর আল্লাহর অভিশাপ এবং তিনি তাদের বধির করেন ও তাদের চোখ অন্ধ করে দেন।"
— (সুরা মুহাম্মদ: ২২-২৩)
এই আয়াতে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করাকে দুনিয়ার বিশৃঙ্খলার একটি বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪. জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়া:
আল্লাহ তাআলা বলেন:
"যে সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন, তা ছিন্ন করে এবং তার ফলে পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে—তারা তাদের জন্যই অভিশপ্ত, এবং তাদের জন্য রয়েছে চূড়ান্ত দুর্ভোগ।"
— (সুরা আর-রাদ: ২৫)
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করার শামিল, যা ইসলামে বড় গুনাহ হিসেবে গণ্য। সম্পর্ক ছিন্নকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে লাঞ্ছনা ও কঠোর শাস্তির হুমকি রয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্য মুমিনদের অবশ্যই আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে এবং সম্পর্ক ছিন্ন না করার চেষ্টা করতে হবে।
আরো পড়ুন
ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব: দৈনন্দিন জীবনে হাইজিন মেনে চলা
ইসলামে রক্তের সম্পর্ক বা আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অনেক উপকারিতা জানুন